ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা ও ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফরসা হওয়ার উপায়ঃ

 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা ও ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফরসা হওয়ার উপায়ঃ

বর্তমানে সকলে চায় যে নিজেকে অন্যের কাছে অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করতে। যে যতই সুন্দর হক না কেন তাঁর সুন্দরতা ততক্ষণ পরযুন্ত দেখাবেনা যতক্ষণ পরযুন্ত না সে নিজ শরীর বা সাস্থের প্রতি যত্নশীল হবে। এর এজন্য কেউ সুন্দর হওয়ার পরেও তাকে সুন্দর দেখায় না। কেউ যদি সুন্দর তেমন না হয় তবুও সে কেবল শরীর চর্চা ও রূপচর্চার মাধ্যমে নিজেকে সুন্দর করে অন্যের কাছে উপস্থাপন করতে পারবে। কেননা শরীর চর্চা এর মাধ্যমে অনেক মানুষ নিজেকে আকর্ষণীয় করে তলে। মূলত এই একটাই কারণে বর্তমানে সকলে রূপচর্চা নিয়ে এত আগ্রহ যোগায়। রূপচর্চার মাধ্যমে মানুষ তাঁর লুকিয়ে থাকা সুন্দরতাকে ফুতিয়ে তলে। আর আপনি যেহেতু গুগলে সার্চ করেছেন ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা ও ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফরসা হওয়ার উপায়, রূপচর্চা, ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফরসা হওয়ার উপায় বা ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা তাহলে আপনি নিশ্চই জানতে চান যে কিভাবে আপনি ঘরে বসেই নিজেকে আকর্ষণীয় ও সুন্দর করে তুলবেন। তাহলে আজকের এই পোস্টটি কেমল মাত্র আপনারী জন্য কেননা আমরা আজ এই পোস্টতিতে উল্লেখ করেছি যে, কিভাবে আপনি ঘরে বসেই আপনার রূপচর্চা করবেন, কিভাবে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা ও ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফরসা হবেন, কিভাবে আপনি রূপচর্চা করবেন, কিভাবে আপনি ঘরে বসেই নিজেকে আকর্ষণীয় ও সুন্দর করে তুলবেন, কিভাবে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফরসা হবেন। তো বেশী দেরী না করে চল শুরু করা যাক আমাদের আজকের এই রূপচর্চা নিয়ে আলোচনটিঃ

রূপচর্চাঃ

ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা ও ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফরসা হওয়ার উপায়ঃ


আমরা রূপচর্চা মূলত কম বেশি সকলে করতে পছন্দ করি বা করে থাকি। কিন্তু বর্তমানে আগের মতো সকালে রূপের যত্ন করা যায় না বা সম্ভব হয় না। বর্তমানের এই ব্যস্ত দিনে আর আগের মতো সকালে রূপচর্চা করা হয়না বা যায় না। আর এই অবহেলার ফলে আমাদের ত্বক আর আগের মতো সুন্দর ও উজ্জল নেই। খেয়াল করলে দেখা যায় যে, আমাদের চেয় আমাদের দাদী নানীর ত্বক অনেক সুন্দর টান টান হয় আছে বা ছিল। কেননা আমাদের দাদী নানীর সেই সময় কোনো ক্যামিকেল উপাদান ব্যবহার করেন নি বা ব্যাবহার করার প্রয়জন হয় নি । কেননা আমাদের দাদী নানীর সবসময় ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করেছেন আর এই ঘরুয়া উপায় ব্যাবহার করে নিজেকে সুন্দর করে রাখতেন। তাই আমাদের দাদী নানীর ত্বক আজও এত সুন্দর উজ্জ্বল হয় আছে। কিন্তু আমরা এখন বর্তমানে অলসপ্রিয় জাতির ক্যামিকেল যুক্ত প্রোডাক্ট বা ঔষধ ব্যবহার করতে করতে আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য ও উজ্জলতা কমে যায় বা কমে যাচ্ছে। আর অল্প বয়সে আমাদের ত্বকের উপর একটি ও ঔষধ বা প্রোডাক্টের চাপ পড়ে যায়। এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমাদেরকে আবার সেই আগের মতো ঘরোয়া উপায় পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে যেন আমাদের শরীর আমাদের দাদী নানীর মতো উজ্জল ও টানটান হয় কোন ক্ষতি ছাড়াই। আসুন আমরা এখন জেনে নেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা করার উপায় বা রূপচর্চা করার পদ্ধতি।

১। এলোভেরা জেল

ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা ও ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফরসা হওয়ার উপায়ঃ


আমাদের ত্বক বা শরীরে এলোভেরা জেল রূপচর্চার প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় বা কাজ করে। আমাদের ত্বকের যত্নে এলোভেরা জেল বিশেষভাবে উপকারী একটি ঘরুয়া উপাদান। এলোভেরা গাছের পাতার জেল আমাদের মুখে থাকা কালো দাগ থেকে আমাদেরকে মুক্তি করে আবার এই এলোভেরা জেল মুখে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। আবার অন্য দিকে এই এলোভেরা জেল ব্যাবহার করে ব্ল্যাক হেডস দূর করে। আবার ত্বককে পরিষ্কার করার পর ত্বকের লোমকূপ গুলো খুলে দেয় যার ফলে উজ্জলতা বেড়ে যায়। তবে আপনারা এই এলোভেরা দিয়ে ফেস প্যাক বানাতে পারেন। পরিমাণ মতো এই এলোভেরা জেল নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো বাদাম গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এই পেস্ট এবার আপনি আপনার মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। তারপর ভালোভাবে পানি বা জল দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ঘরোয়া উপায়ে এলোভেরা আপনার ত্বক বা শরীরে দারুণ ভাল যত্ন নেয়।

২। টমেটো

টমেটো হলো লাইকোপেন নামক উপাদান সমৃদ্ধ একটি উপকারি ফল। যা আমাদের ত্বকের মধ্যে থাকা মৃত কোষকে সরিয়ে ফেলে আর ত্বকের লোমকূপ গুলো ভাল ভাবে পরিষ্কার করে ফেলে। আমাদের ত্বকের মধ্যে থাকা দাগ দূর করতে এই টমেটো দারুণ কাজ করে বা দারুন ভূমিকা পালন করে। আমাদের ত্বকের ফর্সা ও উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে এই লাইকোপেন উপাদান বিশেষ কাজ করে থাকে। পরিমাণ মতো টমেটো কে ভালোভাবে আপনি প্রথমে ব্লেন্ড করে নিন এবং এর সাথে ২চামচ লেবুর রস মিশিয়ে দিন। এই মিশ্রনটি ২০ থেকে ২৫ মিনিট আপনার মুখে রেখে দিন। তারপর মিশ্রনটি শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। হাতের কাছে থাকা এই টমেটো আমাদের ঘরোয়া ভাবে ত্বকের যত্ন নিতে  দারুণ ভাল কাজ করে।

৩। ডিমের ফেস

ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা ও ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফরসা হওয়ার উপায়ঃ


ডিমের ফেস প্যাক নামটি মূলত আমরা কম বেশি সকলেই জানি। আমাদের ত্বক ফর্সা ও উজ্জল করতে ডিমের কোনো বিকল্প নেই। সহজ উপায়ে ডিম আমরা কম বেশী সবসময়য় হাতের কাছে পেয়ে থাকি। ডিমের ফেস প্যাক করার জন্য একটি বাটিতে ডিম নিয়ে সেটিকে ফাটিয়ে ভালোভাবে কুসুম আর সাদা অংশ মিশিয়ে নিন। এরপরে সেই মিশ্রনটি ভালোভাবে আপনার মুখে লাগিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে দেওয়ার পর ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শুকিয়ে গেলে মুখ ভালোভাবে ঠান্ডা পানিতে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন।

৪। খোসার ফেস প্যাক

আমদের আশে পাশে আমের খোসার ফেস প্যাক বর্তমানে তেমন কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না। অথবা কেউ বা আবার এই আমের খোসার ফেস প্যাক এই নামটি না শুনেই থাকবেন। আগের সময় ফেস প্যাকে করতে আমের খোসা ব্যবহার করতেন। আম যেমন দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে মজা লাগে ঠিক তেমনি আমের খোসার সাথে দুধ মিশিয়েও ত্বকের ফেস প্যাক বানানো যায় বা বানানো হতো। এক্ষেত্রে আমের খোসার ফেস প্যাক তৈরি করতে আপনি পরিমাণ মতো দুধ নিন এবং এর সাথে আমের খোসা নিয়ে একসাথে ব্লেন্ড করে নিন। এবার আমের খোসার এই ব্লেন্ড করা পেস্ট টি মুখে, গলায়, ঘাড়ে লাগিয়ে নিন। দেখবেন কয়েকদিন নিয়মিত এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক অনেক সুন্দর হবে বা আপনার সুন্দরতা বেড়ে যাবে।

৫। গোলাপ জল

 আমাদের ত্বকের যত্নে আর ত্বকে গোলাপি ভাব গায়ে আনতে গোলাপ জল দারুণ কাজ করে। গোলাপ জল আমাদের ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। আগের কালে মানুষ গোলাপের পাঁপড়ি গুলোকে পানিতে ভিজিয়ে সারারাত রেখে দিত এবং তাঁর পরের দিন সকালে সেই পানি গোলাপ জল হিসেবে ব্যবহার করত। কিন্তু বর্তমানে আমাদের বাজারে রেডিমেট গোলাপ জল পাওয়া যায়। এই গোলাপ জল মুখের ত্বক সুন্দর আর পরিষ্কার রাখে সাহায্য করে থাকে।

উপরের উল্লেখিত উপায় গুলোতে যে উপাদান গুলোর কথা বর্ণিত রয়েছে সেগুলো হলো ঘরোয়া উপাদান আপনার ত্বক উজ্জল করার জন্য। এই উপাদান গুলো আপনি খুব সহজে আপনার বাসায় পেয়ে যাবেন আর সহজে প্যাক বানিয়ে বা তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। আগের সময় মানুষ যেভাবে ব্যাবহার করত। ঘরুয়া উপায় রূপচর্চা করা সবচেয় ভাল এতে করে আপনার ত্বকের কোন ক্ষতি হয় না আবার রূপচর্চাও হয় আবার আপানার আমার সুন্দর ও উজ্জলতাও বেড়ে যায়। তাই ঘরুয়া পদ্ধতিটি হোলো সবচেয়ে ভাল।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url