স্থিতি শক্তি কাকে বলে উদাহরণ দাও

 স্থিতি শক্তি কাকে বলে: কোন বস্তুতে স্থিতিশীল শক্তি অবস্থান করার পূর্ব পর্যন্ত যে শক্তি কার্যকর থাকে তাকে অতি শক্তি বলা হয়। অর্থ সময় চলার ক্ষেত্রে বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার ক্ষেত্রে গতিশক্তি ব্যবহার করা হয়।

গতি শক্তির উদাহরণ

১. সাইকেল চালনা করার ক্ষেত্রে প্যান্ডেল গোড়ানোর মাধ্যমে গতি শক্তি উৎপন্ন হয়।

২. পাখি ওরা এবং একটি উড়ন্ত বিমান হলো গতিশক্তির উদাহরণ।

৩. ভূপৃষ্ঠ থেকে কোন রকেট উত্তোলন।

৪. বিভিন্ন কক্ষপথ সমূহে উপগ্রহসমূহ চলাচল।

৫. হাঁটার সময় অথবা দৌড়ানোর সময় গতি শক্তি অনুভব করা হয়।

৬. দৌড়ানোর সময় গতিশক্তি উৎপন্ন হয়।

৭. ইলেকট্রন সমূহ পারমাণবিক কক্ষপথে পরিভ্রমণ করা।

৮. তুষার পাথর অথবা জলপ্রপাত হওয়া হচ্ছে গতিশক্তির উদাহরণ।

৯. তারের মধ্য দিয়ে গতিশক্তির বলে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়।

আরো পড়ুন: জটিল বাক্য কাকে বলে?

বিভব শক্তি ও গতি শক্তির পার্থক্য

* বিভব শক্তি :

১.স্বাভাবিক অবস্থান থেকে কোন বস্তুকে অন্য কোন অবস্থানে নিতে যে পরিমাণ শক্তি বঞ্চিত করা হয় তাকেই বিভক্তি বলা হয়।

২. m পরিমাণ ভোরের একটি বস্তুকে h উচ্চতায়  নিলে তারপর ফলে বিভব শক্তি পরিমাণ হয়,,, mgh

৩. যদি কোন একটি দলের সাপেক্ষে একটি কল্পনা করা তাহলে অন্যতলের সাপেক্ষে ও বিভক্তি রয়েছে।

৪. বস্তু  সমূয়ের আপেক্ষিক অবস্থানের উপর নির্ভর করে থাকে অনু পরমানুর রোগশক্তি সমূহ।

* গতিশক্তি :

১. গতিশীল অবস্থায় কোন গতিশীল বস্তুর মধ্যে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তাকে গতিশক্তি বলা হয়।

২. গতিশক্তি,  Ek= 1/2 mv2

৩. কোন বস্তির ব্যাগের পরিমাণ যদি শূন্য হয় তাহলে গতিশক্তি থাকে না।

৪. গতি শক্তি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে বস্তুর প্রসঙ্গ কাঠামোর বা তলের কোন প্রয়োজন হয় না।

স্থিতি শক্তি কাকে বলে

স্বাভাবিক অবস্থায় কোন স্থিতিশীল বস্তুর মধ্যে যে শক্তি জমা হিসেবে রয়ে থাকে সেই শক্তিকে স্মৃতিশক্তি বলা হয়।

স্থিতিশক্তি বস্তুতে অবস্থানরত অবস্থায় এর অন্তঃস্থ অবস্থায় থাকে।

স্থিতিশক্তি ও গতিশক্তি কাকে বলে

স্থিতিশক্তি :স্থিতিশক্তি সাধারণত কোন বস্তুতে সঞ্চিত অবস্থায় অবস্থানরত থাকে।

স্মৃতিশক্তি সময় সাধারণত স্প্রিং এর ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

স্প্রিংকে হাত দিয়ে টেনে লম্বা করে যদি তাহলে এর মধ্যে স্থিতিশক্তি থাকে।

গতিশক্তি :

গতিশীল বস্তুসমূহ তার নিজের গতির জন্য যে শক্তি অর্জন করে তাকে গতিশক্তি বলা হয়।

পাহাড়ে ডালু রাস্তায় উপর দিকে নিচে যে গাড়ি নেমে আসে সেটি তার গতিশক্তির ফলে।

আবার পাহাড়ি ডালু উঁচু স্থান থেকে নিচু স্থানে অতি পরিমান পানি প্রবাহের ফলে তার সাথে বড় বড় পাথরের টুকরাগুলো নেমে আসে,  এ ঘটনা মূলত গতিশক্তির ফলে ঘটে থাকে।

স্থিতিশক্তি ও গতিশক্তি মধ্যে পার্থক্য

কোন বস্তুতে স্থিতিশীল শক্তি অবস্থান করার পূর্ব পর্যন্ত যে শক্তি কার্যকর থাকে তাকে অতি শক্তি বলা হয়। অর্থ সময় চলার ক্ষেত্রে বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার ক্ষেত্রে গতিশক্তি ব্যবহার করা হয়।

অপরদিকে কোন বস্তু স্থির অবস্থায় থাকলে তার মধ্যে যে শক্তির জমা অবস্থায় থাকে তাকে স্থিতিশক্তি বল হয়। অনেক ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তিকে নিষ্ঠল শক্তি ও বলা হয়ে থাকে।স্থিতি শক্তি উচ্চতার উপর নির্ভর করে তবে গতিশক্তি বরং ব্যাগের উপর নির্ভর করে।

আরো পড়ুন: আন্তঃআণবিক শক্তি কাকে বলে

[caption id="attachment_2457" align="alignnone" width="1200"]স্থিতি শক্তি কাকে বলে উদাহরণ দাও স্থিতি শক্তি কাকে বলে উদাহরণ দাও[/caption]

স্থিতিশক্তি কাকে বলে উদাহরণ দাও

কোন একটি বস্তু যখন স্থিতিশীল অবস্থায় বা বন্ধ অবস্থায় থাকে তখন তার মধ্যে যে শক্তির জমা অবস্থায় বা সঞ্চিত অবস্থায় হিসেবে থাকে তাকে স্মৃতিশক্তি বলা হয়।

বাচ্চাদের খেলনার ক্ষেত্রে স্থিতিশক্তি অধিক পরিমাণে রয়েছে যেমন,,

খেলনা গাড়ির স্প্রিং এর মধ্যে স্থিতিশক্তি রয়েছে , এই স্থিতিশক্তি থাকার ফলে খেলনা গাড়ির স্প্রিংকে টেনে ছেড়ে দিলে সে গাড়িটি চলতে থাকে।

গাড়ি যখন চলতে থাকে তখন গাড়িতে অবস্থানরত অবস্থায় যে স্থিতিশক্তি থাকে তা অতি শক্তিতে রূপান্তর হয়ে যাওয়ার ফলে গাড়ি চলতে শুরু করি।

গাড়িটি যতক্ষণ না পর্যন্ত চালানো হয় ততক্ষণ পর্যন্ত এর মধ্যে যেসব অন্ত:স্থ শক্তি হিসেবে থাকে তা হচ্ছে স্থিতিশক্তি।

স্থিতিশক্তি সূত্র

স্থিতিশক্তি বস্তুর উচ্চতার উপর নির্ভর করে। স্থিতিশক্তি সাধারণত কোন বস্তুকে উপর থেকে নিচে ফেলে দেয়া হলে বা উপর থেকে উপরে নিক্ষেপ করার ক্ষেত্রে  এর মধ্যে বিভব শক্তি বাড়তি শক্তি ক্রিয়া করে।

h উচ্চতা বিশিষ্ট কোন বস্তুকে m বর কে নিয়ে উপর দিকে নিচে ফেলা হলে এর মধ্যে স্থিতিশক্তিটি হবে এরকম,,

স্থিতিশক্তি,,, W =. mgh,,,

যেখানে, m= বস্তুর ভর,,,

g= অভিকর্ষজ ত্বরন,,,

h= ভূমি হতে বস্তুর উচ্চতা,,,

আরো পড়ুন: মার্কেটিং বলতে কি বুঝায় কত প্রকার কি কি

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url